পাকিস্তানে জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর নয় ,সংসদীয় কমিটি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাকিস্তানে প্রস্তাবিত ফৌজদারী অপরাধ (পিপিসি অ্যাক্ট) সংশোধন আইন -২০১৮ -এর বিরোধীতা করেছে দেশটির ন্যাশনাল এসেম্বলী হিউম্যান রাইটস ষ্ট্যান্ডিং কমিটি। ওই প্রস্তাবনায় ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুকে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে দোষীদের জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিষয়ে বলা হয়েছিল।
সম্প্রতি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে ছয় বছর বয়সী শিশু জয়নাবকে অপহরণ করে ধর্ষণের পর মরদেহ ভাগাড়ে ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতারের একদিন পর সিনেটে বিলটি আনা হয়েছিল।
নতুন প্রস্তাবিত এই বিলটির নাম ‘ফৌজদারী অপরাধ সংশোধন আইন-২০১৮ (ক্রিমনাল ল’ এমেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট-২০১৮)’। এই আইনটি পিপিসি অ্যাক্ট-১৮৬০-র সেকশন-৩৬৪-এ অনুচ্ছেদের সংশোধনী হিসেবে সিনেটে প্রস্তাবনা রাখা হয়েছিল। ওই আইনের ৩৬৪-এ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছিল-‘১৪ বছরের কম বয়সী কোনো শিশুকে অপহরন করে তাকে হত্যা বা গুরুতর আহত করলে সেক্ষেত্রে অপরাধীর শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড।’
আর নতুন সংশোধনীতে এ ধরনের অপরাধীকে প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রস্তাবনা আনা হয়।
নতুন এই প্রস্তাবনার বিরোধীতা করে সিনেটর ফারহাতুল্লাহ বাবর প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়টিকে সেনাশাসক জিয়াউল হকের আমলের সংগে তুলনা করেন।
তিনি বলেন, ‘ আমাদের সেই সময়ের অবস্থায় ফিরে যাওয়া উচিত নয়। যদি পূর্বের আইন সংশোধন করা হয় তবে যেকারো ক্ষেত্রেই প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবী অব্যাহত থাকবে।’
এদিকে, পাকিস্তানের সংসদীয় কমিটি নতুন সংশোধনীর বিরোধীতা করেছে বলে জানিয়েছেন এই কমিটির চেয়ারম্যান বাবার নেওয়াজ খান।